Blog Archive

Wednesday, April 21, 2010

দাদুর ডায়রী থেকে



আমাদের প্রকৃত জমিদারী খানাকুল কৃষ্ণনগর, জেলা হুগলী। জমিদারীর একভাগ যায় মিদনাপুর(মেদিনীপুর) আর আরেক ভাগ আমাদের খানাকুল।
আমাদের পূর্ব পুরুষ কলকাতায় কালীঘাটে এসে ওঠেন।
8, Hazra Rd. (Late Sarat ch. Sinha’s fore fathers) এবং 91 Beltolla Rd. (my ancestors) যেখানে আমার (সমরচন্দ্র সিংহ) জন্ম হয়।

আমার ঠাকুরদা ঁগিরীশচন্দ্র সিংহ, আমি যখন শিশু তখন বৃদ্ধ বয়সে মারা যান। তিনি খুবই স্বাস্থ্যবান, গৌরবর্ণ এবং সু-পুরুষ ছিলেন।
আমার ঠাকু’মা ঁনিমাইবালা দেবী খুব সুন্দরী এবং গৌরবর্ণা মহিয়সী মহিলা ছিলেন। খুব ছেলেবেলার স্মৃতিকথায় আমার তাঁকে মনে পরে, তিনি খুবই সাত্ত্বিক বৃদ্ধা ছিলেন। তাঁর ঠাকুর ঘর নানান হিন্দু দেব-দেবীর ছবিতে পূর্ণ ছিল। আমাদের পরিবারের কাছে সে ঘরটি অতি পবিত্র ছিল। আমি স্মৃতিতে তাকে দেখতে পাই, তিনি লাল শাড়ি পরতেন। অনেক রুদ্রাক্ষের মালা এবং কঙ্কণ আর উপর বাহুতে অনন্ত পরতেন (সোনা-রূপার গহনা তিনি পরতেন না)। বিভিন্ন আকারের মন্ত্রপূত কবচ(ছোট থেকে বিশাল বড় ২” পর্যন্ত!) তার গলায় এবং উপর বাহুতে ঝুলত। ঠাকু’মার চুল সাদা ছিল। তার চওড়া সিঁথে লাল সিঁদুরে আবৃত থাকত এবং সেই সঙ্গে একটি বিশাল বড় গোল সিঁদুরের টিপ তার প্রশস্ত কপালে উজ্জ্বল ভাবে অবস্থান করত, তান্ত্রিকদের মত।

আমার খুব আব্‌ছা মনে পরে বেলতলায় আমাদের এলাকার প্রতিবেশীরা অসুস্থ হলে ঠাকুমার কাছে মন্ত্রপূত কবচ এবং প্রসাদ নিতে আসতেন। তিনি এভাবে ওসুধ প্রয়োগে সফল এবং জনপ্রিয় ছিলেন। তিনি খুব সাত্ত্বিক আহার গ্রহণ করতেন। ঠাকুরদা বেঁচে থাকলেও তিনি সম্পূর্ণ নিরামিশ ভোজন করতেন।

আমি জানতাম অল্পবয়সে তিনি স্বাস্থ্যবতী ও দৃঢচিত্তের অধিকারিনীও ছিলেন। কৈশরে আমি আমার কাকির(ঁপ্রকাশচন্দ্রের স্ত্রী) কাছে শুনেছি এবং দেখেওছি আমার বাবাও যুবা বয়সে আসাধারণ শক্তিও স্বাস্থ্যের অধিকারী ছিলেন।

আমার ঠাকুরদা যদিও B.A. পাশ করা হাইকোর্টের অনুবাদক ছিলেন, তবু তিনি ব্যক্তিগত ব্যবসার জন্য প্রায়ই বিহার, উত্তরপ্রদেশ যেতেন। তাঁর ঘি ও মাখন সরবরাহের ব্যবসা ছিল। তাঁর ব্যবসায় ক্রমাগত লোকসান চলছিল। এ কারণে তাঁকে কিছুকাল বহুদিন কলকাতার বাসা ছেড়ে বিহারে অবস্থান করতে হয়।

আমার ঠাকুমাকে বরাবর দারিদ্রের ভিতর সংসার চালাতে হয়। তখন তিনি তিন পুত্র ও দুই কন্যার জননী। একসময় শোচনীয় দারিদ্র তাঁকে বেলতলার বাড়ি ছেড়ে পাঁচ পুত্র-কন্যাকে নিয়ে আমাদের পূর্বপুরুষের ভিটে খানাকুলে যাত্রা করতে হয়। সে যুগে এই যাত্রা ছিল অতি দুরুহ(আনুমানিক ১৯০০ খ্রীঃ)। ট্রেনও গরুর গাড়িতে করে আমতা পর্যন্ত গিয়ে তারপর নৌকায় যাত্রা করতে হয়। তারপর ৫-৭ মাইল(বেশিতো কম না!) হাঁটাপথ, যা দুর্গম কাঁচা রাস্তা।

আমার ঠাকুমা তখন খুবই স্বাস্থ্যবতী, কিছুটা স্থূলা। কিছু মাইল চলার পর প্রচন্ড গ্রীষ্মের তাপে(সময়টা বৈশাখ অথবা জ্যৈষ্ঠ) তিনি অসম্ভব মানসিক ও শারীরিক ক্লান্তিতে ভেঙ্গে পরেন। তার উপর এত পথ হাঁটায় তার দুই উরু ঘর্ষণে যন্ত্রণাদায়ক হয়ে ওঠে। এই অবর্ণনীয় কষ্ট, অসম্ভব পথ পরিশ্রম তাঁকে ক্লান্তির শেষ সীমায় উপনিত করল। এর সাথে ছিল বহুক্ষণ অনাহার। মূর্ছা যাওয়ার মত তাঁর অবস্থা হল। তবু তিনি সব কিছু অগ্রাহ্য করে আবার চলতে শুরু করলেন। তার সবচেয়ে ছোট শিশু পুত্র ও কন্যাটি ক্ষুধা ও কষ্টে সারাপথ কেঁদে চললো।

এইরূপ অবস্থায় আমার পিতা তাঁর সবচেয়ে ছোট ভাই এবং বোনকে দুই কাঁধে বসিয়ে নিলেন এবং আর একজনকে কোমড়ে বেঁধে নিলেন। তারপর মার কষ্ট দেখে তাকে কোলে তুলে নিলেন। সঙ্গে এক ভাই থেকে গেল। এভাবে আবার যাত্রা শুরু হল। ধিরে ধিরে তারা ক্রমশ গন্তব্যস্থলের দিকে অগ্রসর হতে থাকলেন। যখন নিজেরদের গ্রামে প্রবেশ করলেন তখন পুর অঞ্চলকে যেন এক কঠিন অন্ধকার গ্রাস করে নিয়েছে।

কিন্তু এত পরিশ্রম করে গভীর রাতে যখন তারা নিজের ভিটেতে পৌঁছতে সক্ষম হলেন তখন দুর্ভাগ্যবশত খাদ্য বা অর্থ – কোন রূপ সাহায্য না দিয়েই তাদের বিতাড়িত করা হল। আসলে তখন আমার ঠাকুরদার সঙ্গে এক কঠিন বৈষয়িক ঝামেলা চলছিল। গ্রামের আত্মীয়রা ভাবলেন ঠাকুরদা কৌশলে করুণার আশ্রয়ে সম্পত্তি হস্তগত করতে রাতারাতি স্ত্রী-পুত্রদের পাঠিয়ে দিয়েছেন। ফলে কেউ সাহায্যের হাত বাড়ালেন না।

আত্মমর্যাদা সম্পন্না, প্রগাঢ বুদ্ধিমতী মহিলা আমার ঠাকুমা অনুনয়, বিনয় বা করুণা প্রার্থণা করলেন না। সে রাতে তিনি সন্তানদের নিয়ে বাইরে একটি আটচালায় কাটালেন এবং মুড়ি, কিছু বাতাসা ও শীতল জল সন্তানদের আহার করালেন এবং নিজেও গ্রহণ করলেন।

তারপর দিন সকালেই তারা কলকাতায় প্রত্যাবর্তনের জন্য যাত্রা শুরু করলেন। ঠাকুমার শেষ সম্পদ –হাতের কঙ্কণ যা সোনার তারে জরান ছিল, সেটি গ্রামের হাটে বিক্রি করা হল। সেই অর্থে তারা খাদ্য সংগ্রহ করলেন এবং ফেরার জন্য গরুর গাড়ি, নৌকা ও ট্রেনে যাতায়াতের জন্য রাখলেন।
পরবর্তী কিছুকাল আমাদের কলকাতার বেলতলার বাড়িটি বন্ধক রাখতে হয় আমাদেরই আরেক পিতৃপুরুষের কাছে খুব সামান্য মূল্যে। পরবর্তীকালে কিছু সম্পত্তি ভাগ্যক্রমে রক্ষা পায় আমার পিতা ও কাকার কল্যাণে। আমাদের মিদ্‌নাপুর ও হুগলী খানাকুলের অংশের বিনিময়ে।

আমার পিতা ছিলেন পিতামাতার জ্যেষ্ঠ পুত্র। তারপরে আরো তিন ভাই ও তিন বোন ছিল। আমার পিতা ঁপ্রবোধচন্দ্র সিংহ - খুব অল্প বয়স থেকে সংসারের দুঃখ–কষ্ট দেখেন। তাই তিনি খুব অল্প বয়সেই বোস’স্‌ সার্কাসে (Bose’s Circus) চাকরী নেন। বোস’স্‌ সার্কাস তখনকার যুগে বিখ্যাত সার্কাস পার্টি ছিল।

আমার পিতা সেখানে উড়ন্ত ট্রাপিজ্‌ খেলা, খাঁচায় বন্ধ বাঘের সঙ্গে খেলা এবং বুকের উপর হাতি দাঁড়ানোর খেলা দেখাতেন। তিনি জাপান, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলি এবং দক্ষিণ আমেরিকায় সার্কাসদলের সাথে ভ্রমণ করেন। এভাবে তিনি পুর সংসারের ভরণপোষণ করতেন। তিনি আমার দুই কাকাকে লেখাপড়া শেখান। আমার মেজ কাকা ঁপ্রকাশচন্দ্র সিংহ ভেটেনারী সার্জেন স্নাতক হয়েছিলেন।
..........................................
এই পর্যন্ত দাদু লিখে গেছেন- শুনেছি দাদুর বাবা অল্প বয়সে ট্রাপিজের খেলা দেখাতে গিয়ে পায়ে লোহার পেরেক ফুটে শেখান থেকে সেপ্‌টিক হয়ে মারা যান, ছোট ছোট চার সন্তান রেখে।
.........................................

আমার কাকা ও পিসিরাঃ

আমি সমরচন্দ্র সিংহ। আমার জন্ম ৯১ বেলতলা রোড, কালীঘাট, কলকাতা।

আমার ঠাকুরদা ঁগীরিশচন্দ্র সিংহ বৃদ্ধা বয়সে মারা যান।

•আমার পিতা প্রবোধচন্দ্র সিংহ মারা যান ১২ই কার্তিক, ১৩৩০বঙ্গাব্দ, ২৯শে অক্টোবর, ১৯২৩।

মা বিভাবতী দেবীরও তার কিছু পরই মৃত্যু হয়।

•আমার মেজকাকা প্রকাশচন্দ্র সিংহ ভেটেনারী সার্জেন্ট G.B.V.C.

তিনি মারা যান ১৯৬২ সালের ১৬ই অগস্ট, বৃহস্পতিবার।

তাঁর কাছেই আমি লেখাপড়া শিখি, তার কাছেই বড় হই।

মেজকাকার পুত্ররাঃ
সুধির কুমার সিংহ(২য় সন্তান): রিটায়র্ড করেছেন এসিসটেন্ট স্টোর কিপার কলকাতা পোর্ট কম্পানী থেকে। এখন পার্ক স্ট্রীটে স্ত্রী-পুত্রের সাথে থাকেন। দুই কন্যা বিবাহিত।

ঁশিশির কুমার সিংহ(৪র্থ সন্তান): জিওলজিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ায় কাজ করতেন। তিনি লিবিয়ায় কর্মরত অবস্থায় মারা যান। তার বিধবা স্ত্রী পার্ক স্ট্রীটে থাকেন। তাদের দুই পুত্র।

মুক্তি সিংহঃ UK থেকে ইঞ্জিনীয়রীং পাশ করে Braithwaite & co. তে যোগ দেন। রিটায়র্ড করেন ১৯৭৫/৭৬।
তার এক পুত্র ও এক কন্যা।
তারা পার্ক সার্কাসে থাকেন।

খোকন সিংহঃ Braithwaiteএ ইলেকট্রিকাল বিভাগে কাজ করতেন।

রবি সিংহঃ বিবাহিত এবং বালিগঞ্জে বাড়ি।

মেজকাকার কন্যারাঃ
শ্রীমতী ছবিরানী ঘোষঃ স্বামী শ্রী জীতেন্দ্রনাথ ঘোষ, গিরিডি।
শ্রীমতী বিনতারানী মিত্র(খুকি): স্বামী ঁঅতুল্য মিত্র। গরচা রোডে বাড়ি।

শ্রীমতী ডলিরানী সরকারঃ স্বামী ঁসিদ্ধেশ্বর সরকার। সরকারবাড়ি লেন, বজবজ়ে বাড়ি।

শ্রীমতী ইলারানী ঘোষঃ স্বামী শ্রী অমল ঘোষ দস্তিদার। সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক পাটনার ম্যানেজার। গড়িয়ায় বাড়ি কিনেছেন।
এদের এক কন্যা ও এক পুত্র।

•সেজকাকা প্রভাতচন্দ্র সিংহ টাইপিস্ট ছিলেন shaw wallace co., কলকাতার।

তিনি ১৯৬৩ সালে তার বাসুলডাঙ্গা গ্রামের বাড়িতে ডায়মন্ড হারবার, ২৪পরগণায় মারা যান।


•ছোটকাকা প্রহ্লাদচন্দ্র সিংহ খুব অল্প বয়সে মারা যান।

•বড় পিসি সম্পর্কে বেশি যানা যায় না। খুলনায় তার বিয়ে হয়। কম বয়সে বিধবা হয়ে ভাইয়ের কাছে বেলতলা রোডে চলে আসেন।
তাঁর এক ছেলে ট্যাঁপাদা। তিনি ২২/২৩ বছর বয়সে সন্ন্যাসী হয়ে গৃহত্যাগ করেন। একবার কোন কারণে তিনি দেখা করতে আসেন মেজকাকার বৌবাজারের কোয়াটারে। ঠাকুমার অনেক অনুনয়-বিনয়েও নিজের অবস্থান সম্পর্কে কোন কিছু জানান না। শুধু জানা যায় দমদমের কোন প্রান্তে তিনি একটি আশ্রম স্থাপন করেছেন, সেখানে একটি কালী মন্দিরও প্রতিষ্ঠা করেন।

•মেজ পিসির বিয়ে হয় সিকরা কূলীনগ্রাম (B.B. Lt. Rly.) বসিরহাট, ২৪পরগণা।
তার দুই পুত্র ভোলানাথ ঘোষ ও সন্তোষকুমার ঘোষ। ভোলানাথ দমদমে নিজের বাড়ি করে চলে আসেন। সন্তোষকুমার বিয়ে করেন নি। তিনি বোনের সংসারে দেখাশোনা করতেন। তিনিও পরে দমদমে চলে আসেন।

•ছোট পিসির বিয়ে হয় ঁপ্রিয়নাথ ঘোষের সাথে। প্রিয়নাথ ঘোষ A.S.I ছিলেন ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ জেলার।
পরে তিনি ফিরে আসেন ও স্কুলমাষ্টার হন। তারপর দারিদ্রের মধ্যে পরলে পুরী ফিরে যান পাইকপাড়া রাজবাড়ির এস্টেটের কাজ নিয়ে।
তার এক পুত্র সুধীর ঘোষ। তিনি পুরীতে পাইকপাড়া রাজবাড়ির এস্টেটের ভিতর একটি প্রাইভেট মেডিকেল স্টোর্স করেন।
ছোট পিসির দুই কন্যা। বড়জনের কটকে বিবাহ হয়। দ্বিতীয় জনের খবর সঠিক জানা নেই।
পিসি মৃত্যুর সময় অন্ধ হয়ে যান এবং দারিদ্রের মধ্যে পুরীতেই মারা যান।


আমার মামার বাড়িঃ
আমার বড়মামা ঁঅনিল কৃষ্ণ ঘোষ, ২য় ভবানন্দ রোড, কালীঘাটে থাকতেন। চাকরী করতেন Babli Supervisor pvt.
তাঁর এক পুত্র ও তিন কন্যা।

মেজমামা সুনীল কৃষ্ণ ঘোষ, প্রথমে অডাম জুট মিলে কাজ করতেন, পরে অম্বিকা জুট মিলে যোগ দেন।
বালিতে তাঁর নিজের বাড়ি।
তার একপুত্র ও এক কন্যা।

ছোটমামা নিখিল কৃষ্ণ ঘোষ, ইলেকট্রিকাল ইঞ্জিনীয়র, রিটায়ার্ড অম্বিকা জুট মিল।
বিহারে ভাড়া বাড়িতে থাকেন।

আমরা ভাই-বোন:

শ্রী অমরচন্দ্র সিংহ(দাদুর বড় ভাই): জন্ম ১৯১৫ সাল- মৃত্যু ১৯৩৬সাল, ২/৩ নভেম্বর, সকাল ৯টা, যাদবপুর হসপিটাল। লেখাপড়ায় অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র ছিলেন।

শ্রী সমরচন্দ্র সিংহঃ জন্ম ১৯১৭ সাল, ২১শে জানুয়ারি, বাংলার ৮ই মাঘ, ১৩২৩ বঙ্গাব্দ।
(মৃত্যু ১৯৯৫ সাল, ২৯শে জানুয়ারী)
ধনুরাশী-কর্ক্কট লগ্ন।
পূর্বনিবাস-খানাকুল, হুগলী জেলা।
পূর্বতন চারপুরুষের ভিটে, ৯১, বেলতলা রোড, কালীঘাট, কলকাতা।

আর কোন ভাই নেই।

শ্রীমতী বুলারানী মিত্র (বড় বোন): বিবাহ হয় শ্রী শৈলেন্দ্রনাথ মিত্র, গ্রাম রামনগর, বারুইপুর, ২৪ পরগণা। পরে কলকাতায় নিজের বাড়ি করে পাশেই চলে আসেন। তাঁর পি তা ঁবিহারীলাল মিত্র।
এদের চারপুত্র ও দুই কন্যা।

শ্রীমতী ঁবিজলীরানী বোস (ছোট বোন): বিবাহ হয় শ্রী ক্ষিতিশচন্দ্র বোস, গ্রাম ডোঙ্গাঘাট, কেশবপুর, যশোর জেলা (বর্তমান বাংলাদেশ)। ১৯৪৩ সালে বোন যখন মারা যায় তখন আমি ওভারসিয়র ছিলাম মিলিটারী সার্ভিসে।

তাঁর দুই পুত্র- প্রশান্ত বোস, হাওড়া জুট মিলে কাজ করে ও সুশান্ত বোস, C.I.Bতে চাকরী করে।
কলকাতায় বিপীনপাল রোডে নিজেদের বাড়ি।

আমার তৃতীয় বোন খুব ছোট বয়সে মারা যায়, মার বৌবাজারের বাড়িতে। তখন তার বয়স ৩/৪ বছর।


আমি সমরচন্দ্র সিংহ।
আমার স্ত্রী ভক্তি সিংহ, তার পিতা ঁনীরেন্দ্রনাথ মিত্র, নীলগোপাল মিত্র লেন, ভবানীপুর, কলকাতা।

আমার সন্তানরাঃ
আমার প্রথম পুত্র জন্মের ৬ঘন্টার মধ্যে মারা যায়। রামকৃষ্ণ মিশন হসপিটল, ১৯৪৫ সাল, জুন ... রাত ২টো।

দিলীপ সিংহ (তোতন, বাবি): জন্ম ১৭এ, নীলগোপাল মিত্র লেন, ভবানীপুর, কলকাতা। ৩১শে অক্টোবর, ১৯৪৬ সাল, ৬.২০মিনিট, সকাল। শ্রীমতী রায় চৌধুরীর তত্ত্বাবধানে।

কন্যা নবনিতা সেন (ময়না): জন্ম বিবেকানন্দ মেটারনিটি হোম ও হসপিটাল। ১৯৪৮সাল, ১৬ই অগস্ট, ৮.১৭ মিনিট, সকাল।

সাগর সিংহ(টুকু): জন্ম বিবেকানন্দ মেটারনিটি হোম ও হসপিটাল। ১৯৫০সাল, ২৯শে জুলাই, ১১.৫৪ মধ্যরাত।

যমজ পুত্র-একজন বাঁচে-চন্দন সিংহ(বুলু): জন্ম বিবেকানন্দ মেটারনিটি হোম ও হসপিটাল। ১৯৫৩ সাল, ৭ই জানুয়ারী, দুপুর ১২টায়। অন্যজন জন্মের পর তৃতীয়দিন মারা যায়।

দাদু ও তাঁর তোলা কিছু ছবি

দাদুর কাকা-কাকি......এঁনাদের কাছেই মানুষ হন


সমরচন্দ্র সিন্‌হা......২৬.৯.৩৭




চন্দ্রালোকে তাজমহল



দেরাদুন



দেরাদুন
দেরাদুন


পথ



শ্রমিক



ঢাকুরিয়া লেক




বোটিং



ঘোড়সওয়ারী


পুষ্প প্রদর্শনী



ইলার সাথে দিদি(ছবি)...২.৬.৩৭



বোন



মা ও শিশু



ফেব্রুয়ারী......১৯৪২




ফেব্রুয়ারী......১৯৪২





বেলুড়, ফেব্রুয়ারী......১৯৪২


খুকি(ছোটবোন)


দিদি ও ভাই



খুড়তুতো বোন


ছোট বোন ও জামাই







Afraid






পিসিরা






টুলু ও কল্যান -কাকু









পিকনিক, বীরভূম

সমর সিংহী, অনিল মজুমদার ও গাঙ্গুলি......ইরাক, ৪.৪.৪৪


Run To You - Live at Slane Castle, Ireland.mp3

Followers