Blog Archive
Sunday, May 23, 2010
প্রতিমা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাক্ষাৎকার নিচ্ছেন হেমন্ত মুখার্জি
[অনুষ্ঠানটি অনেক পুরানো, দূরদর্শন কেন্দ্র কলকাতার......প্রথম থেকে দেখার সুযোগ হয়নি...যেখান থেকে দেখেছি, সেখান থেকেই রেকর্ড করলাম আপনাদের সাথে এই দুর্লভ মুহুর্ত শেয়ার করার জন্য]
আমার ভাল লাগা প্রতিমার কিছু গান :-
বাশঁ বাগানের মাথার উপর চাঁদ উঠেছে ওই
http://www.esnips.com/doc/e236417f-c1cc-47e9-88f0-b5641eda0394/007.-Bnash-Baganer-Mathar-Opor-Chand-Uthechhe-Oi-Mago-Amar-Sholok-Bola-Kajla-Didi-Koi_Pratima-Banerjee
ছল্কে পরে কল্কে ফুলে মধুটি আর রয়না...
http://www.esnips.com/doc/9d0c4421-e10e-4bc5-bd31-4bc8b41744b5/008.-Chholke-Porhe-Kolke-Phule_Pratima-Banerjee
আমার জীবন নদীর ওপারে......
http://www.esnips.com/doc/9d772eb0-223c-4f75-a264-83cda062120c/004.-Amar-Jibon-Nodir-Opare-Ese-Dnarhayo_Pratima-Banerjee
নিঙ্গারীয়া নীল শাড়ি শ্রীমতি চলে
http://www.esnips.com/doc/7328b6d3-2c51-4817-b0c9-649b964e694d/021.-Ningarhiya-Nil-Sharhi-Shrimoti-Je-Chole_Pratima-Banerjee
সজনী গো রজনীকে চলে যেতে দাও
http://www.esnips.com/doc/7fb27be2-bc2d-40ed-8b69-953a89be4f0a/023.-Sajoni-Go-Rajonike-Chole-Jete-Dao_Pratima-Banerjee
ত্রিবেনী তীর্থ পথে কে গাহিল গান...
http://www.esnips.com/doc/bbc29357-108e-4c4c-a421-b12f1ab293d6/028.-Tribeni-Tirtho-Pothe-Ke-Gahilo-Gaan_Pratima-Banerjee--Chinmay-Lahiri
তোমায় দেওয়া অঙ্গুরীয় খুলতে পারি নি......
http://www.esnips.com/doc/7a69e192-a9e6-4662-98c6-094cb3914a4e/026.-Tomar-Deoya-Anguriyo-Khulte-Parini_Pratima-Banerjee
আমার যেমন বেনী তেমনি রবে চুল ভিজাব না...
http://www.esnips.com/doc/4495991b-c22c-4201-97a6-3b15e59c7686/005.-Amar-Jemon-Benee-Temni-Robe-Chul-Bhejabo-Na_Pratima-Banerjee
কৈ গো, কৈ গো, কৈ, আমার বকুলফুল কৈ!...
http://www.esnips.com/doc/54ef1c69-5b55-4815-8a97-1a0e372163bb/031.-Koi-Go-Koi-Go-Koi-Amar-Bokul-Phul-Koi_Pratima-Banerjee
আমার হাত ধরে তুমি নিয়ে চল সখা আমি যে পথ চিনি না...
http://www.esnips.com/doc/2156c258-5444-4a12-a77c-19532a4f5753/003.-Amar-Hat-Dhore-Tumi-Niye-Cholo-Sokha-Ami-Je-Potho-Chini-Na_Pratima-Banerjee
আঁধার আমার ভালো লাগে...
http://www.esnips.com/doc/ff67d24c-d4bf-450c-a65f-c809240602a3/006.-Andhar-Amar-Bhalo-Lage_Pratima-Banerjee
একটা গান লিখো আমার জন্য...
http://www.esnips.com/doc/a2595fcf-4c4d-4d61-859b-bbb78ea5ab82/012.-Ekta-Gan-Likho-Amar-Jonyo_Pratima-Banerjee
মালা থেকে ফুল, চোখ থেকে জল আমি ঝরতে দেখেছি...
http://www.esnips.com/doc/ec406a70-d2bb-4b15-8e80-34d5b828510a/017.-Mala-Theke-Phul-Chokh-Theke-Jol-Ami-Jhorte-Dekhechhi_Pratima-Banerjee
মেঘ রাঙান আন্ত আকাশ দিগন্তে কত রঙ ছড়ায়...
http://www.esnips.com/doc/5226c76c-9c57-46c5-bc74-f3f09cb753f8/019.-Megh-Rangano-Anto-Akash-Digonte-Koto-Rong-Chhorhay_Pratima-Banerjee
মেঘলা ভাঙা রোদ উঠেছে লাগছে ভারি মিষ্টি...
http://www.esnips.com/doc/e32977f5-cbd4-4236-a26b-db8c1ed7e031/020.-Meghla-Bhanga-Rod-Uthechhe-Lagchhe-Bhari-Mishti_Pratima-Banerjee
আরও কিছু গান শুনতে ইচ্ছে হলে...
http://www.esnips.com/web/pratimabanerjee/
Tuesday, May 18, 2010
ছোটদের রাশিয়ান গল্পঃ খাঁটি সব আষাঢ়ে গপ্প -নিকোলাই নোসোভ
বাগানের মধ্যে বেঞ্চিতে বসে ছিল মিশুৎকা আর স্তাসিক। গল্প করছিল।
তবে সে গল্প ঠিক অন্য ছেলেদের মতো নয়। খাঁটি সব আষাঢ়ে গল্প; কে হারে কে জেতে।
মিশুৎকা বললে, ‘বয়স কত রে তোর ছোঁড়া?’
‘পঁচানব্বুই। তোর?’
‘আমার একশ চল্লিশ। আগে আমি ছিলাম মস্ত বড়ো, বরিস কাকুর মতো। তারপর ছোটো হয়ে গেলাম।’
স্তাসিক বললে, ‘আর আমি ছিলাম এইটুকুন। তারপর বড়ো হয়ে গিয়ে ফের ছোট্ট হয়ে গিয়েছি। শিগগিরই আবার দেখবি বড়ো হয়ে যাবো।’
‘আর আমি যখন বড়ো ছিলাম, তখন গোটা নদীটা সাঁতরে চলে যেতাম।’
‘ফুঃ! আমি সাগর পেরতে পারতাম।’
‘ভারি তো সাগর! আমি মহাসমুদ্র সাঁতরে পেরিয়ে গেছি!’
‘মহাসমুদ্র সাঁতার ওতো সোজা!’
‘সত্যি! দুটো হাঙর পাশ দিয়ে যাচ্ছিল। একটা আমার পা দুটো খেয়ে নিল!’
‘তাহলে ও দুটো তোর কাছে আবার এলো কি ভাবে?’
‘গজাল আবার।’
‘তোফা ছাড়লি বটে,’ হিংসে হচ্ছিল স্তাসিকের। ইচ্ছে হল মিশুৎকার চেয়েও খাসা কিছু একটা বলে।
বললে, ‘তবে এ আর কী! আমি একবার না – গিয়েছিলাম আফ্রিকা। কুমীরে খেয়ে ফেলে আমায়।’
‘মিথ্যুক কোথাকার!’ মিশুৎকা হেসে উঠল।
‘মাইরি, সত্যি!’
‘তবে বেঁচে রইলি কী করে?’
‘পরে আমায় উগরে দিল যে!’
মিশুৎকা ভাবল একটু। ইচ্ছে ছিল স্তাসিককে ছাড়িয়ে যাবে। ভেবে ভেবে শেষ পর্যন্ত বললেঃ
‘একদিন জানিস, রাস্তা দিয়ে যাচ্ছি, চারি দিকে ট্রাম বাস লরি...’
স্তাসিক চেঁচিয়ে উঠল, ‘জানি, জানি। বলবি তো যে ট্রাম তোকে চাপা দিয়ে গেল। ও গপ্প তুই আগেই বলেছিস।’
‘মোটেই না, সে গপ্প নয়।’
‘বেশ, বল তা হলে কী হল।’
‘আমি তো চলেছি। গা বাঁচিইয়ে। হঠাৎ একটা বাস। লক্ষ্যই করি নি। পা দিয়ে মাড়াতেই – ব্যস, একেবারে চিঁড়েচ্যাপটা।’
‘হা, হা, হা, মিথ্যুক কাঁহিকার।’
‘মোটেই নয়।’
‘বাস তুই পা দিয়ে চেপেছিস! তাই কখনও হয়?’
‘বাসটা যে একেবারে এই টুকুনি, খেলনা বাস! দড়ি দিয়ে টেনে নিয়ে যাচ্ছিল একটা ছেলে।’
এই সময় এল পড়শীদের ছেলে ইগোর; বেঞ্চিতেই বসলো ওদের সঙ্গে।
মিশুৎকা আর স্তাসিকের গপ্প শুনেটুনে বললেঃ
‘গুল মারছিস, লজ্জাও করে না!’
স্তাসিক বললে, ‘আমরা তো কাউকে ধাপ্পা দিচ্ছি না, বানিয়ে বানিয়ে বলছি শুধু, গপ্প বলার মতো।’
‘গপ্প!’ মুখ বাঁকাল ইগোর, ‘ভারি কাজ জুটিয়েছিস বটে!’
‘তুই কি ভাবিস বানিয়ে বানিয়ে বলা খুব সহজ বুঝি?’
‘নয়ত কী!’
‘বেশ, বানিয়ে বল দেখি একটা।’
ইগোর বললে, ‘বেশ তো... দাঁড়া...’
মিশুৎকা আর স্তাসিক নড়ে চড়ে বসল শুনতে।
‘দাঁড়া... এ্যাঁ-এ্যাঁ... হুঁ... হুম... এ্যাঁ-এ্যাঁ...’
‘কী বল! এ্যাঁ-এ্যাঁ করছিস কেন।’
‘দাঁড়া, একটু ভেবে নিই।’
‘বেশ ভেবে নে।’
‘এ্যাঁ-এ্যাঁ-এ্যাঁ,’ ফের শুরু করল ইগোর, আকাশের দিকে তাকাল, ‘দাঁড়া – এ্যাঁ-এ্যাঁ...’
‘বললি খুব সোজা, তো অতো ভাবছিস কী?’
‘দাঁড়া না... হ্যাঁ শোন! একদিন না আমি একটা কুকুরের পেছনে লেগেছিলাম। কুকুরটা খপ করে আমার পা কামড়ে দিলে। এই দেখ এখনো দাগটা আছে।’
‘তা এর মধ্যে বানালি কী তুই?’ জিজ্ঞেস করল স্তাসিক।
‘কিছুই না। যা হয়েছিল তাই বললাম।’
‘তবে যে বড়ো বললি বানিয়ে বলার ওস্তাদ তুই।’
‘ওস্তাদ তো বটেই! তবে তোদের মত নয়। তোরা কেবল বাজে সময় নষ্ট করিস। আমি কাল যা বানিয়ে বানিয়ে বলেছি তার একেবারে হাতেনাতে ফল।’
‘কী রকম ফল?’
‘তবে শোন। কাল সন্ধ্যেবেলা না, মা-বাবা সব বেরিয়ে গিয়েছিল, ঘরে কেবল আমি আর ইরা। ইরা ঘুমিয়ে পড়ল। আমি আলমারি খুলে আধ বয়াম জ্যাম মেরে দিলাম। পরে ভাবলাম যদি ধরা পড়ি! করলাম কী, ইরাটার ঠোঁটে খানিকটা জ্যাম মাখিয়ে দিলাম। মা এসে বললে, “কে জ্যাম খেয়েছে?” আমি বললাম, “ইরা।” মা দেখল সত্যি ওর ঠোঁটে জ্যাম লেগে আছে। আজ সকালে মা-র কাছ থেকে বকুনি খেল ইরা আর আমায় আরো জ্যাম দিলো। দেখলি তো কেমন ফল!’
‘তার মানে তোর জন্য অন্য কেউ বকুনি খেল, আর তুই দাঁত ক্যালাচ্ছিস!’ মিশুৎকা বলে।
‘তাতে তোর কী?’
‘কিছুই না, তবে তুই হলি একটা... সেই যে কী বলে? ... একটা মিথ্যেবাদী! বুঝলি?’
‘তোরাই মিথ্যেবাদী!’
‘যা ভাগ এখান থেকে! তোর সাথে এক বেঞ্চিতে বসব না আমরা।’
‘তোদের সাথে বসতে আমার নিজেরই ভারি বয়ে গেছে!’
ইগোর উঠে চলে গেল। মিশুৎকা আর স্তাসিক ও বাড়ির পথ ধরল।
রাস্তায় দেখল আইসক্রীম বিক্রি হচ্ছে। পকেট হাতড়ে দেখতে লাগল ক’টা পয়সা আছে। দেখা গেল দু’জনের যা আছে তা মিলিয়ে কেবল একটি আইসক্রীমই কেনা যায়।
স্তাসিক বলল, ‘একটাই কিনি, আধাআধি করে খাব।’
দোকানী মেয়েটা একটা আইসক্রীম ওদের দিল।
মিশুৎকা বলল, ‘চল বাড়ি যাই, ছুরি দিয়ে কেটে ভাগ করব। একেবারে সমান সমান হবে।’
‘তাই চল।’
সিঁড়ির গোড়ায় দেখা গেল ইরা দাঁড়িয়ে আছে। কেঁদে কেঁদে চোখ ফোলা।
‘কাঁদছিস যে?’ জিজ্ঞেস করল মিশুৎকা।
‘মা আমায় রাস্থায় যেতে মানা করেছে।’
‘কেন?’
‘জ্যামের জন্যে। আমি কিন্তু খাই নি। ইগোর আমার নামে লাগিয়েছে। ওই খেয়েছে বোধ হয়, দোষ দিয়েছে আমার।’
মিশুৎকা বলল, ‘ইগোরই তো খেয়েছে। ও নিজেই বলেছে। কাঁদিস না ইরা, চল তোকে আমার ভাগের আইসক্রীম দেব, আয়।’
‘আর আমি তোকে দেব আমার ভাগ। একবার এই একটূখানি চেখেই দিয়ে দেব,’ কথা দিল স্তাসিক।
‘কেন, তোরা নিজেরা খাবি না?’
‘উঁহুঃ, মুখ মরে গেছে। মিশুৎকার সঙ্গে আজ আমি গোটা দশেক আইসক্রীম খেয়েছি, কিনা!’
ইরা বলে, ‘তার চেয়ে এক কাজ করি, তিনভাগ করা যাক আইসক্রীমকে।’
‘ঠিক বলেছিস!’ স্তাসিক বলল, ‘তুই যদি একাই সবটা খেয়ে নিস, তবে গলায় ঠান্ডা লেগে যেতে পারে, বুঝেছিস...’
ঘরে ফিরে তিন ভাগ করা হল আইসক্রীমটাকে।
মিশুৎকা বলল, ‘ভারি মিষ্টিরে! আইসক্রীম পেলে আর আমি কিছু চাই না। জানিস, একবার আমি পুরো এক বালতি আইসক্রীম খেয়েছিলাম।’
‘যতো বাজে কথা,’ হেসে উঠল ইরা, ‘এক বালতি আইসক্রীম খেয়েছ বললেই অমনি সবাই বিশ্বাস করবে আর কি!’
‘বারে, বালতিটা যে এইটুকুনি, কাগজের বালতি, যাতে করে আইসক্রীম বিক্রি হয়!’
Tuesday, May 11, 2010
কবি প্রণাম
কিশোর কবি, ১৮৭৭; গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর অঙ্কিত
ছাত্রাবস্থায় ইংলেন্ডে, ১৮৮০ সাল
অভিনেতা রবীন্দ্রনাথ…১৮৮১ সালে ‘বাল্মীকি প্রতিভা’য় কবি
পত্নী মৃণালিনী দেবীর সঙ্গে, ১৮৮৩ সাল
লন্ডনে, ১৮৯০ সাল
মৃণালিনী দেবী
১৯০৫ সাল
১৯০৬ সাল
মহাত্মা গান্ধিজীর সঙ্গে
এলবার্ট আইনস্টাইনের সঙ্গে
ছোট মেয়ে মীরা, পুত্র রথীন্দ্রনাথ, পুত্রবধু প্রতিমা ও বড় মেয়ে বেলার সাথে
নাতি ও নাতনী নন্দিতার সঙ্গে, ১৯৩৪সাল
................................
জ্ঞানদানন্দিনী দেবী
কবির মেজদা সত্যেন্দ্রনাথের স্ত্রী জ্ঞানদানন্দিনী...উনি প্রথম স্বামীর সাথে সংসারের বাইরে বার হন এবং আধুনিক বাঙালী মেয়েদের রুচি শোভন শাড়ি পরা নিয়ে ভাবনা চিন্তা করেন।
স্বর্ণকুমারী দেবী
কবির দিদি...... লেখিকা ছিলেন।
কাদম্বরী দেবী
কবির নতুনদাদা জ্যোতিরিন্দ্রনাথ স্ত্রী কাদম্বরী দেবী ....কবির নতুন বৌঠান ...সদ্য মাতৃহারা দেবর বালক রবিকে তিনি পরম স্নেহে সেসময় তার কাছে টেনে নেন ...ঠাকুরবাড়ির অন্দরমহলের যা কিছু সুন্দর তার সব কিছুর সাথে জড়িয়ে আছেন কাদম্বরী ...কিশোর রবীন্দ্রনাথের সৌন্দর্যবোধকে তিনি সবচেয়ে উচু তারে বেধে দিয়েছিলেন......তিনি নিজে কিছুতেই অংশ গ্রহন করতেন না। অপরকে প্রেরণায় উজ্জীবিত করাই ছিল তার ব্রত.......কিশোর রবীন্দ্রনাথের মানসিক গঠনে কাদম্বরীর ভুমিকা অসামান্য....তার অকালমৃত্যু রবীন্দ্রনাথের মনের মধ্যে গভীর ছাপ রেখে যায়, যা তার অসংখ্য গল্পে, কবিতা, গানে তিনি প্রকাশ করেছেন।
Subscribe to:
Posts (Atom)